টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে এক-দুইটা ওভারেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যেতে পারে তারই প্রমান খুলনা ও বরিশালের ম্যাচে। মেহেদী হাসান মিরাজের করা ম্যাচের শেষ ওভার বদলে দিলো খেলার ফলাফল। আরিফুল হকের চার ছক্কা জয় এনে দিলো খুলনাকে। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে স্বাভাবিকভাবেই অনেক হতাশ তামিম ইকবাল। তবে সতীর্থদের চেষ্টায় সন্তুষ্ট বরিশাল অধিনায়ক তামিম।
আরিফুলের ৪ ছক্কায় হারলো বরিশাল, হতাশ হলেও সতীর্থদের চেষ্টায় খুশি তামিম।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ফরচুন বরিশাল এর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫২ রান। জবাবে খুলনার শুরুটাও ছিল খুব বাজে। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন আরিফুল। শেষ ওভারে জেমকন খুলনার বাকি থাকে ২২ রান। মেহেদি হাসান মিরাজের করা শেষ ওভারের পাঁচ বলেই চার ছক্কা হাঁকিয়ে ২৪ রান তুলে নেন আরিফুল। আর এরই মাধ্যমে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় জেমকন খুলনা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম ইকবাল বলেন, “১৯ ওভার পর্যন্ত আমরা এগিয়ে ছিলাম। শুধু একটা ওভারই তাদের পক্ষে গেছে। আপনি জানেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একটা বা দুইটা ওভার পুরো ম্যাচ বদলে দিতে পারে। আর এটাই হয়েছে। আরিফুল খুব ভালো খেলেছে। মাঝখানে উইকেট দরকার ছিল, আমাদের পেসাররা সেটা এনে দিতে পারেনি…মিরাজের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল। সব মিলিয়ে আমরা খুব ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। দুভার্গ্যবশত আমরা ম্যাচটা হেরে গেছি। আমি ছেলেদের চেষ্টায় বেশ খুশি।”
বরিশালের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৫০ করতে পেরেছেন কেবল পারভেজ হোসেন। ৫১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন এই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে তার ইনিংসটাকে আরেকটু লম্বা করতে পারলে ম্যাচের চিত্র অন্যরকম হতে পারতো বলে মনে করেন তামিম। এপ্রসঙ্গে তামিম বলেন “সে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। বল খুব ভালো স্ট্রাইক করছিল। যেভাবে খেলছিল ৬০-৭০ রান করতে পারতো। ও সেটা পারলে আমরাও হয়তো ১৬০-১৭০ করতে পারতাম।”
তবে দিন শেষে ফলাফল তাই মুখ্য, তাই চেষ্টায় খুশি হলেও হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে।
ক্রিকেটের আরো খবর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন!